
পাসপোর্ট নবায়ন ইস্যু নিয়ে মুখোমুখি দাঁড়াল পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাসপোর্ট নিয়ে স্বরাষ্ট্রের দিকে আঙুল তোলেন।
আর রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানিয়েছে, বিদেশে বাংলাদেশি কিছু মিশন বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করেছে।
১৭ আগষ্ট মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিদেশে থাকা বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট নবায়ন বন্ধ থাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, অনেক বাংলাদেশির পাসপোর্ট নবায়ন হচ্ছে না।
এর মূল কারণ ছাপা হচ্ছে না। আমরাও এখানে বহু পাসপোর্টর জন্য বসে আছি। ছাপা যন্ত্রের গন্ডগোল। পাসপোর্ট তো আমরা ইস্যু করি না। এটি স্বরাষ্ট্রের কাজ। তারা বলেছে ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন ছাপা শুরু হবে। তারা আগে থেকে এটি নিয়ে চিন্তা করেনি কেন জানি না।
তবে বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের বৈদেশিক কিছু মিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি এবং গণমাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করেছে।
যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং এ পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু ছিল না। অতি পুরোনো হওয়ায় এমআরপিতে এ ধরনের সাময়িক প্রতিবন্ধকতা আগেও হয়েছে এবং সমাধানও হয়েছে। ই-পাসপোর্ট চালু না হওয়া পর্যন্ত এ ধনের সাময়িক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এতে জানানো হয়, ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য ২০১৯ সালের জুলাই মাসে জার্মানির ভেরিডস জিএমবিএইচ চুক্তি হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দেশের অভ্যন্তরে ৭২টি পাসপোর্ট কার্যালয়ে আর দেশের বাইরে বাংলাদেশের ৮০টি মিশনে ১৮ মাসের মধ্যে চালুর কথা ছিল।
দেশের সব কার্যালয়ে এটি সম্ভব হলেও করোনার কারণে দেশের বাইরে কোনো মিশনেই ই-পাসপোর্ট চালু করা সম্ভব হয়নি। তাই সেখানে এমআরপি দেওয়া হচ্ছে। এমআরপির যন্ত্রপাতি ১১ বছরের পুরোনো। যন্ত্রপাতির ব্যবহার উপযোগিতা অনেক আগেই শেষ হয়েছে।
পুরোনো এমআরপি সিস্টেমকে সচল রাখতে অনেক প্রকার যন্ত্রপাতি হালনাগাদ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। এ ছাড়া কিছু সফটওয়্যারের হালনাগাদ করা ও পরিবর্তী সময়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চুক্তি করা হয়েছে।
বিদেশে পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ৪০ লাখ এমআরপি বই আমদানি করা হয়েছে। এ ছাড়া এমআরপি সার্বিক সমস্যা সমাধানের জন্য মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠান আইআরআইএস করপোরেশন বেরহেড এর সঙ্গে ১২ই আগস্ট চুক্তি সই হয়েছে।
এতে জানানো হয়, আগস্টের ১৬ ও ১৭ তারিখে ২১ হাজার ৬০ হাজার পাসপোর্টের আবেদনপত্র সহ আনুমানিক দেড় লাখ আবেদনের মধ্যে ৪ দিনে সর্বমোট ৩২ হাজার ৬০টি এমআরপির আবেদন সফটওয়্যারে প্রসেস করা হয়েছে।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সকল পুরোনো আবেদন নিষ্পত্তি ও অগ্রগতি হবে। যে সফটওয়্যার দিয়ে এটি চালানো হয় অফিস সফটওয়্যার আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম পুরোপুরি কখনো বন্ধ হয়নি। তবে এর গতি কমে গিয়েছিল।
শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
- Click to print (Opens in new window) Print
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window) WhatsApp
- Click to email a link to a friend (Opens in new window) Email
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window) LinkedIn
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on X (Opens in new window) X