5

সর্বশেষ

বিশেষ প্রতিনিধি, মৌলভীবাজারমৌলভীবাজার সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার …

বিশেষ প্রতিনিধি,শ্রীমঙ্গল জনতা ব্যাংক পিএলসি কর্তৃক ঘোষিত “ডিপোজিট হান্টিং”-এর ১০০ দিনের বিশেষ কর্মসূচির আওতায় জনতা ব্যাংক পিএলসি, শ্রীমঙ্গল শাখা এক অসামান্য অর্জনের …

বিশেষ প্রতিনিধি,মৌলভীবাজারমৌলভীবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী সামাজিক ও মানবিক সংগঠন শেখ বোরহান উদ্দিন (রহঃ) ইসলামী সোসাইটি (বিআইএস), মৌলভীবাজার-এর উদ্যোগে এবং সংগঠনের উপদেষ্টা আমেরিকা প্রবাসী …

শরীফ আহমদ, দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি:জাতীয় শিল্প হিসেবে পরিচিত চামড়া খাত বর্তমানে চরম সংকটে রয়েছে। সিলেটের চামড়া ব্যবসায়ীরা পড়েছেন অস্তিত্বের সংকটে। এক সময়ের …

দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি:সিলেট নগরীতে ট্রাকের ধাক্কায় রিকশার এক যাত্রীদক্ষিণ সুরমার নারী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে (৮ জুন) রোববার বেলা ১১টার দিকে …

Profession IT

গাজা: ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গেলেও আশা কখনো মরে না

মুহুর্ত আন্তর্জাতিক: গাজা উপত্যকায় সময় কেবলমাত্র একটি সংখ্যা নয়, এটি রক্তের বিনিময়ে পরিমাপ করা হয়। প্রতিটি অতিরিক্ত ঘণ্টা যুদ্ধ মানে নতুন প্রাণহানি, নতুন ধ্বংসযজ্ঞ এবং স্বজন হারানোর নতুন গল্প। যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও ফিলিস্তিনিরা ধ্বংসস্তুপের মাঝে দাঁড়িয়ে নতুনভাবে জীবনযাত্রা শুরু করার চেষ্টা করছে।

গাজার ফিলিস্তিনিরা ১৫ মাস ধরে টিকে ছিল অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে। ক্রমাগত বিমান হামলা, খাদ্য ও পানির সংকট, স্বজন হারানোর যন্ত্রণা—এসব কিছুই তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু যুদ্ধের শেষ মুহূর্তে যখন অস্ত্রবিরতি কার্যকরের অপেক্ষায় ছিল, তখনও ইসরাইল তাদের উপর নির্মম হামলা চালিয়েছে।

গাজার জনগণ চুক্তি কার্যকরের খবরে উচ্ছ্বসিত ছিল। তারা আশ্রয় শিবিরে বসে রেডিওতে কান পেতে শুনছিল কবে তাদের ফেরার পথ খুলবে। অবশেষে যুদ্ধবিরতির খবর আসতেই তাদের মনে মুক্তির আলো জ্বলে উঠেছিল। কিন্তু ইসরাইল সেই আনন্দ সহ্য করতে পারেনি, বরং অস্ত্রবিরতির আগমুহূর্তে নারকীয় হামলা চালিয়ে শত শত নিরীহ নারী, শিশু ও পুরুষকে হত্যা করেছে।

যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ শেষে গাজার মানুষ নিজেদের বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে ফিরে গেছে। কেউ ধ্বংসস্তূপের ওপর তাবু গেঁথেছে, কেউ কবরস্থানে গিয়ে হারানো স্বজনদের খুঁজছে। ইসরাইলের বুলডোজার কবরস্থান ধ্বংস করে দেওয়ায় অনেকেই তাদের স্বজনদের কবরের চিহ্ন পর্যন্ত খুঁজে পাচ্ছে না।

একজন ফিলিস্তিনি তার সন্তানের কবর খুঁজে পাওয়ার আশায় কবরস্থানে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু কবরের কোনো চিহ্ন নেই। তিনি বললেন, “আমি যদি সন্তানের কবর পেতাম, তার পাশে বসে কথা বলতাম, ক্ষমা চাইতাম যে তাকে দানবের হাত থেকে বাঁচাতে পারিনি।”

গাজার মানুষের জীবন শুধুমাত্র ধ্বংস আর ক্ষত-বিক্ষত স্মৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তাদের হৃদয়ে রয়েছে অদম্য লড়াইয়ের স্পৃহা, পুনর্গঠনের প্রত্যয়। তারা বিশ্বাস করে, একদিন গাজার রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল আবার গড়ে উঠবে। রাফার জনগণ আবার ঘরে ফিরবে, নতুন জীবন শুরু করবে।

এই যুদ্ধের সবচেয়ে কঠিন সময় তারা পার করে এসেছে। এখন তাদের একটাই চাওয়া—আর যেন মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ না হয়। ফিলিস্তিনিরা প্রমাণ করেছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গেলেও আশা কখনো মরে না। তারা আবার গড়ে তুলবে তাদের স্বপ্নের গাজা, নতুন ভবিষ্যতের জন্য।

মুহুর্ত ২৪ অনলাইন, প্রজন্মের বার্তাবাহক, বিশ্বময় সবসময় সর্বশেষ খবর জানতে চোখ রাখুন।

অফিস

বি-রিং রোড-২ : দোহা-কাতার
গুলশান : ঢাকা, বাংলাদেশ
আবুদাবী : সংযুক্ত আরব আমীরাত
উপশহর : সিলেট, বাংলাদেশ
বার্সেলোনা : স্পেন

যোগাযোগ

সাহিত্য, উদ্ভাবন, প্রযুক্তি, সংবাদ সহ যেকোন বিষয়ে লেখা পাঠাতে পারেন এই ই-মেইলে [email protected]