
মুহুর্ত অনলাইন: ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সন্নিকটে অবস্থিত বকশীবাজারের মাদ্রাসা-ই-আলিয়া মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের এজলাস কক্ষে গতকাল গভীর রাতে এক রহস্যময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আদালতের এজলাস কক্ষে এই আগুন লাগানোর ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, বিডিআর বিদ্রোহের বিচার বিলম্বিত করার একটি ষড়যন্ত্রমূলক অপকৌশল হিসেবে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। উল্লেখ্য, আজই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচারিক কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিন নির্ধারিত ছিল। এর আগে নথিপত্রের ঘাটতির কারণ দেখিয়ে বিচার কার্যক্রম বারবার পেছানো হয়েছিল।
ঘটনার দিন রাতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণের মাঠ নিয়ে স্থানীয় ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। ছাত্রদের দাবি ছিল, মাঠটি উন্মুক্ত রাখা হবে এবং এখানে কোনো ধরনের আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।
এই উত্তপ্ত পরিবেশের মধ্যেই দুইজন অপরিচিত যুবক এজলাস কক্ষের তালা ভেঙে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, তারা পালানোর সময় অপরাধীদের ধাওয়া করে, তবে তারা সাদা একটি গাড়িতে চড়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিস কাছাকাছি অবস্থানে থাকলেও তাদের দেরিতে কাজ শুরু করা সন্দেহ আরও ঘনীভূত করেছে।
২০১৪ সালে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার শুনানি চালানোর জন্য এই অস্থায়ী আদালত স্থাপন করা হয়। তৎকালীন সরকারের বিশেষ নির্দেশে আইন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে আদালতটি পরিচালিত হয়ে আসছে।
অস্থায়ী কাঠামোর মধ্যে বিশেষ জজ আদালতগুলোতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা এ বিচার কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তবে, এই আদালতে অনেককে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়, যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
বকশীবাজারের এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি শুধুই একটি দুর্ঘটনা, নাকি বিচার প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে কোনো ষড়যন্ত্রমূলক হামলা, তা তদন্তের দাবি রাখে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে, এমন প্রত্যাশা সবার।
শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
- Click to print (Opens in new window) Print
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window) WhatsApp
- Click to email a link to a friend (Opens in new window) Email
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window) LinkedIn
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on X (Opens in new window) X