আগামী বিশ্ব নেতৃত্ব দেবে তরুণ প্রজন্ম: নেতৃত্বের জন্য যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে

চৌধুরী মাশকুর সালাম: বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা ও দায়িত্ব নতুন মাত্রা পেয়েছে। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক বৈষম্য, এবং সামাজিক ন্যায়বিচার ইত্যাদি নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে তরুণরা একটি নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখছে, যেখানে তারা হয়ে উঠবে আগামীর নেতৃত্বদাতা। এই প্রেক্ষাপটে তরুণ প্রজন্মের করণীয় সম্পর্কে কিছু তত্ত্ব ও তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ প্রদান করা হলো।

জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন: তরুণদের প্রথম কাজ হলো নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশ ঘটানো। শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর পাশাপাশি নিত্যনতুন প্রযুক্তি এবং বৈশ্বিক পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষমতা অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইন শিক্ষার প্রসার ও বিভিন্ন বিশেষায়িত কোর্স তরুণদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে।

পরিবেশ সচেতনতা: জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান সময়ের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। তরুণরা পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারে এবং এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করতে পারে। পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি ব্যবহার, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, এবং গাছ লাগানোর মতো উদ্যোগ তরুণদের হাতে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে।

সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা: বিশ্বের নানা স্থানে সামাজিক বৈষম্য ও অন্যায়ের ঘটনা ঘটে চলছে। তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নীতি নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা: তরুণদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি ও সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে নতুন উদ্ভাবনী ধারণাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব।

রাজনৈতিক সচেতনতা ও অংশগ্রহণ: রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। ভোটাধিকার প্রয়োগ, রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং নেতৃস্থানীয় পদে আসীন হয়ে তরুণরা সমাজের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। তরুণদের উচিত নীতিগতভাবে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা।

এই প্রেক্ষাপটে তরুণ প্রজন্মের করণীয় সম্পর্কে এই তথ্যগুলো স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে, তাদের দৃঢ় প্রত্যয়, সচেতনতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা আগামী বিশ্বে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। তরুণদের উপর নির্ভর করছে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। তাদের স্বপ্ন, চিন্তা ও কাজের মাধ্যমে আমরা আশা করতে পারি, এক নতুন দিগন্তের সূচনা।