কাতারে চাকরি শেষে পাওনার হিসাব কিভাবে করবেন?

কাতারে কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির মেয়াদ শেষ হলে বা চাকরি ছেড়ে দিলে ওই কোম্পানি থেকে প্রাপ্য বোনাস-ভাতা কিভাবে হিসাব করতে হয়- এ বিষয়ে অনেক প্রবাসী স্পষ্টভাবে আইনের বিধান জানেন না। ফলে তা হিসাবের বেলায় বা কোম্পানির কাছ থেকে বুঝে নেওয়ার সময় অস্পষ্ট থেকে যায়।

আবার কেউ কেউ কোম্পানির মালিক বা কর্মকর্তাদের ছলচাতুরি ও প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন। ফলে সঠিক জ্ঞানের অভাবে অনেকে এ থেকে বঞ্চিত হন।

কাতারে চাকরির মেয়াদ শেষে কর্মীর পাওনাকে আরবিতে (মুকাফাআত নিহায়াতুল খিদমাহ) এবং ইংরেজিতে (এন্ড অব সার্ভিস) বলা হয়ে থাকে। কোনো কোম্পানিতে কমপক্ষে এক বছর চাকরি করলে চাকরি শেষ হওয়ার পর বা চাকরি ছেড়ে দিলে এই পাওনা পাবেন কর্মী।

কমপক্ষে এক বছর থেকে শুরু করে যতবছর একজন কর্মী কোনো কোম্পানিতে কাজ করেছেন, সেই সবগুলো বছরের জন্য তিনি চাকরি শেষে অর্থ পাবেন। এটি কর্মীর আইনি অধিকার।

তবে এই অর্থের পরিমাণ কী হতে পারে, এ ব্যাপারে কাতারের শ্রম আইনে বলা আছে, প্রতি বছরের হিসাবে যে পরিমাণ বোনাস ধার্য করা হবে, তা যেন তিন সপ্তাহের বেতনের চেয়ে কম না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

অর্থাৎ, কোনো কর্মী যদি এক কোম্পানিতে ছয় বছর ধরে কাজ করে থাকেন, তবে কমপক্ষে তিনি ১৮ সপ্তাহের নির্ধারিত বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বোনাস হিসেবে পাবেন। অনেক কোম্পানিতে প্রতি এক বছরের বিনিময়ে এক মাসের বেতনও দেওয়া হয়ে থাকে।

চাকরির মেয়াদ শেষে প্রাপ্য বোনাসের ব্যাপারে যদি কোম্পানির মালিকের হিসাব কর্মীর কাছে সঠিক মনে না হয়ে থাকে, তবে তিনি শ্রম মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন বা সরাসরি শ্রম আদালতে মামলা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বা আদালতের বিচারকরা ওই কর্মীর সঠিক প্রাপ্য হিসাব করে দেবেন।

তবে অভিযোগ জানানোর আগে অবশ্যই চাকরির চুক্তিপত্র প্রস্তুত করে রাখতে হবে। অভিযোগের সময় চুক্তিপত্র সাথে রাখতে হবে।

এছাড়া কাতার শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা ক্যালকুলেটারে প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাকরি শেষে প্রাপ্য বোনাসের পরিমাণ বের হয়ে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.