⏲ বিকাল ৫:০৯ বুধবার
📆 ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২, ১৫ জিলকদ, ১৪৪৬ , ১৪ মে, ২০২৫

ভারতের কাঁধে চড়ে ইহুদীদের নতুন নীল নকশা: এশিয়ায় যুদ্ধ! নিশানা পাকিস্তান?

মুহুর্ত আন্তর্জাতিক: গাজায় নৃশংস গণহত্যা চালিয়ে এখন ইসরাইল এশিয়ার শান্তি বিনষ্টের নতুন ষড়যন্ত্রে মেতেছে। ভারত-পাকিস্তান সংঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেদের অপকর্মের যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চালাচ্ছে তারা।

মিথ্যাচারের জাল বিস্তার:

ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত রেন এজর সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একের পর এক মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, হামাসের নেতৃবৃন্দ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থান করছেন এবং জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদের সাথে যোগসাজশ করে স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে উসকানি দিচ্ছেন। এমনকি ইসরাইলে মিউজিক ফেস্টিভালে হামলার সাথে ভারতে সংঘটিত ঘটনার অসম তুলনা টেনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

যুদ্ধের উস্কানি:

ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত ভারতকে গাজার মতো পাকিস্তানকে ধ্বংস করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যেভাবে ইসরাইল গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে, ভারতকেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একই পন্থা অবলম্বন করতে হবে। এর জন্য তারা সব ধরনের সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সামরিক প্ররোচনা:

ইসরাইল ভারতকে তাদের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, F35 যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য মারণাস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা তথ্য, স্যাটেলাইট ইমেজারি এবং সাইবার প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব দিয়ে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

আসল উদ্দেশ্য:

ইসরাইলের এই ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছে কয়েকটি গভীর উদ্দেশ্য:

– গাজায় তাদের গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়

– মুসলিম বিশ্বে বিভেদ সৃষ্টি করে নিজেদের অপকর্ম চাপা দেওয়া

– এশিয়ায় অস্থিরতা বাড়িয়ে নিজেদের সামরিক-অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিল

সম্ভাব্য পরিণতি:

এই ষড়যন্ত্র সফল হলে তার ফলাফল হবে মারাত্মক:

– দুই পারমাণবিক শক্তির মধ্যে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে

– এর ফলে সৃষ্টি হতে পারে পারমাণবিক বিপর্যয়

– হুমকির মুখে পড়বে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা

পাকিস্তানের অবস্থান:

পাকিস্তান স্পষ্ট করে দিয়েছে যে:

– তারা ইসরাইলি ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন

– গাজার সাথে পাকিস্তানের তুলনা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক

– যেকোনো আক্রমণের বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেওয়া হবে

আন্তর্জাতিক প্রভাব:

এই পরিস্থিতির ফলে:

– বিশ্ব অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে

– আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হবে

– শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান হুমকির মুখে পড়বে

ইসরাইলের এই অপতৎপরতা কেবল দক্ষিণ এশিয়ার নয়, সমগ্র বিশ্বের শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাজায় নিরীহ মানুষের রক্তপাত ঘটিয়ে এখন তারা এশিয়ায় নতুন করে রক্তপাতের পরিকল্পনা করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা এবং বিশ্বশান্তি রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

Muhurto 24 News
📆 আজ: বুধবার
🕐 সময় -বিকাল ৫:০৯ - (গ্রীষ্মকাল)
◘ ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
◘ ১৫ জিলকদ, ১৪৪৬ - হিজরী