
মুহুর্ত অনলাইন: ২০২৪ আগস্টে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। মাত্র ৮ মাসে ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে পরিশোধ করা হয়েছে দুই মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণ। বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ফিরছে আস্থা। দেশের অর্থনীতিতে যেন লেগেছে এক জাদুকরী ছোঁয়া। কিন্তু মাত্র আট মাসে কিভাবে এমন চমক দেখালো এই অন্তর্বর্তী সরকার?
দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারের পাশাপাশি উদ্যোগ নেন দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করার। প্রফেসর ইউনুসের সে উদ্যোগের ফল এখন বাস্তবায়িত। সাবেক অবৈধ আওয়ামী সরকারের শাসনামলে দুর্নীতি, লুটপাট আর অর্থপাচারের অনন্য নজির দেখেছে বাংলাদেশ। ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল দেশের অর্থনীতি। তবে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের দায়িত্ব গ্রহণের পর পাল্টে গেছে সে চিত্র। বদলে গেছে দেশের অর্থনীতি। ফুলে ফেপে উঠেছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
আওয়ামী শাসন আমলে গত বছরের জুলাইও আইএমএফ হিসাব পদ্ধতি বিএম সিক্স অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল বিশ, চার বিলিয়ন ডলার যা ৮ মাসের ব্যবধানে বেড়ে হয়েছে একুশ দশমিক চার শূন্য বিলিয়ন ডলার। গ্রোস রিজার্ভের পরিমাণ হিসেবে সংখ্যা বর্তমানে ২৭ বিলিয়ন এর কাছাকাছি।
এছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মোট বৈদেশিক দেনা ছিল প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা। এখন তা নেমে দশ হাজার কোটি টাকায় এসেছে। অর্থাৎ দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে ঊনত্রিশ হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে সরকার। এই দেনা পরিশোধ না হলে রিজার্ভের পরিমাণ দ্বারা তো ২৯ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
দেশের অর্থনীতি আরো মজবুত করে তুলতে নানা পদক্ষেপ দৃশ্যমান অন্তর্বর্তী সরকারের। সম্প্রতি আয়োজিত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটে ৪০ দেশের ৬ শতাধিক বিনিয়োগকারী অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশে। এতে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো। তাদের মধ্যে চীনের পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বাংলাদেশে ১ শত ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের চুক্তি অন্যতম।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের চীন সফরের পর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। সফর শেষে চীন থেকে ২শত ১০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ ও ঋণের প্রস্তাব এসেছে। যা দেশের অর্থনৈতিক গতিকে আরো ত্বরান্বিত করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এছাড়াও প্রযুক্তি ও সেবা খাতকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের প্রতি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। বর্তমানে খাতগুলোতে একাধিক বৈদেশিক বিনিয়োগ আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে। মাত্র আট মাসের মধ্যে ডক্টর ইউনুসের নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতিতে যে অগ্রগতি হয়েছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক।
এ সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে এক নতুন উচ্চতায়। বিশ্ব মানচিত্রে শক্ত অবস্থান তৈরি করছে নতুন উদ্যমে।
শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
- Click to print (Opens in new window) Print
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window) WhatsApp
- Click to email a link to a friend (Opens in new window) Email
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window) LinkedIn
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on X (Opens in new window) X