চৌধুরী মাশকুর সালাম: ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারিতে ঘটে যাওয়া বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিভীষিকাময় অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। পিলখানা সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া এ হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পেছনে হাসিনা গংরা জড়িত ছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের পর দায়ের করা মামলায় হাজারেরও বেশি বিডিআর সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে শতাধিক সদস্যের মৃত্যুদণ্ড এবং কয়েকশত সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তবে এদের অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন, তারা ছিলেন ঘটনার সাথে সরাসরি যুক্ত নন এবং নিরপরাধ হয়েও তাদের শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে।
১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও অনেক বিডিআর সদস্য বিনাবিচারে কারাবন্দি রয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার নিরপেক্ষ ও ন্যায়বিচারের আহ্বান জানালেও কার্যকর পদক্ষেপের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয় এবং এর পেছনে তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশনার ছিল। অভিযোগ রয়েছে, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিচালিত হয়েছে। ফলে প্রকৃত অপরাধীদের পরিবর্তে নিরপরাধ বিডিআর সদস্য শাস্তির শিকার হয়েছেন।
বিডিআর সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাই ছিল মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সরকারের উচিত একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি দ্বারা সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। পাশাপাশি যারা বিনাদোষে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি রয়েছেন, তাদের মুক্তি এবং ক্ষতিপুরণ সহ তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বচ্ছ তদন্ত ও ন্যায়বিচারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং পুনর্বিচারের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করার দাবি জানাচ্ছে তাদের পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীরা।
খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, বিডিআর সদস্যদের পরিবারের লোকদের ঢাকা আসতে প্রশাসন নিষেধ করতেছে। এই বিষয়টি আমাদের খুনি হাসিনার এক তরফা রাষ্ট্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মতই মনে হচ্ছে। আমরা আশাবাদী সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার আর অধরা থাকবেনা বলে মনে করি।
