
মুহূর্ত অনলাইন: বাংলাদেশ আর্মির সাবেক মেজর ও মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুরের সন্তান মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি তার বক্তব্যে অভিযোগ করেছেন যে হাসিনার সরকার তাকে জঙ্গি তকমা দিয়ে মিথ্যা মামলা করে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিতে সেই সময় ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণাও করা হয়েছিল।
২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের নামে পিলখানায় সেনা-হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে দেশের দূরদর্শী ও দেশপ্রেমিক ৫৭ জন সেনা অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করে হাসিনা সরকার। এই ঘটনায় সেনাবাহিনীকে কর্মক্ষম ও দুর্বল করে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়। অনেকেই মনে করেন, এতে ভারতের নির্দেশনা ছিল।
মূলত, এই গণহত্যার জের ধরেই মেজর জিয়া ২০১২ সালে সেনা সদস্যদের নিয়ে হাসিনা সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা করেন। তবে পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত হাসিনা সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল। সংবিধান অনুসারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ থাকার কথা থাকলেও ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৩ সালের নির্বাচনগুলোতে হাসিনা সরকার প্রতিপক্ষ দল ছাড়াই এককভাবে ক্ষমতা দখল করে।
ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে লক্ষ লক্ষ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষকে বিনা অপরাধে জেল, নির্যাতন, খুন, গুম ও দেশছাড়া করা হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহ্বানে শুরু হওয়া গণআন্দোলন, যা “হাসিনা পতন এক দফা” নামে পরিচিত, সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
এই আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট পর্যন্ত যৌথবাহিনী হাসিনা সরকারের নির্দেশে গুলিবর্ষণ করে। এতে প্রায় দুই হাজার ছাত্র ও সাধারণ মানুষ নিহত হন এবং অসংখ্য মানুষ পঙ্গু হন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা, যা “সরকারি গণহত্যা” হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।
জিয়ার বক্তব্য আসছে…
শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
- Click to print (Opens in new window) Print
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window) WhatsApp
- Click to email a link to a friend (Opens in new window) Email
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window) LinkedIn
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on X (Opens in new window) X