
মুহুর্ত অনলাইন: গত ৬ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান ভার্চুয়ালি মিলিত হন ইন্ডিয়ান সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সাথে। এই বৈঠকটি নিয়ে জনসমক্ষে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে জানা গেছে বৈঠকে উভয় পক্ষের পারস্পরিক স্বার্থ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধানদের এরূপ মিটিং সাধারণত কৌশলগত যোগাযোগ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তবে, অনেকের মতে, ভারত বাংলাদেশের প্রতি শোষণমূলক মনোভাব ধারণ করে চলেছে। এটি কিছু সমালোচকের ধারণা, যারা ভারতকে বাংলাদেশে অতিমাত্রায় প্রভাব বিস্তারকারী হিসেবে দেখছেন।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সেনা প্রমোশন বোর্ড নিয়েও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বলা হচ্ছে, এ প্রক্রিয়ায় অনেক যোগ্য কর্মকর্তা প্রমোশন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, সম্ভবত ভারতের প্রভাবের কারণে। অভিযোগ রয়েছে, এসব কর্মকর্তাদের অধিকাংশই দেশপ্রেমিক এবং ভারতের আগ্রাসনবিরোধী। ফলে তাদের প্রমোশন দেয়া হয়নি।
শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে সেনাবাহিনী এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার বিষয়ে কিছু রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ক্ষমতা ও পদবী বণ্টনে পক্ষপাতিত্বের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে, যারা শেখ হাসিনার বিরোধিতা করেছেন বা ভারতের প্রভাবের বিপক্ষে ছিলেন, তাদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিদেশি শক্তির প্রভাবের আলোচনা পুরনো কোনো বিষয় নয়। যাই হোক, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, যদি তা ন্যায্য পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। সেনাবাহিনী এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল যোগাযোগ অধিকতর স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করতে পারে।
সূত্র: স্টার্টআন ফোর্স
শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
- Click to print (Opens in new window) Print
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window) WhatsApp
- Click to email a link to a friend (Opens in new window) Email
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window) LinkedIn
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on X (Opens in new window) X