
সিরিয়ার দামেস্কে দীর্ঘদিন ধরে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সামরিক সংঘর্ষের কেন্দ্রস্থল ছিল। তবে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ইঙ্গিত করছে যে একটি নতুন শক্তি তাদের অবস্থানকে সুসংহত করেছে, এবং তার ফলশ্রুতিতে পুরো পরিস্থিতি আবার নতুন করে বিশ্লেষণ করতে হচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংক ও হেলিকপ্টার নিয়ে গুলান হাইটসে প্রবেশ করে ফেলেছে, এলাকাটি এরই মধ্যে সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া ইসরাইলের জন্য কঠিন ছিলো, সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইসরাইলের জন্য কৌশলগত বিজয়।
ইসরাইল এইজন্য বিদ্রোহীগুষ্টি তৈরী করে দীর্ঘদিন যাবত আছাদ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে আসছিল।
বিদ্রোহীগুষ্টিগুলো ইসরাইলের রক্ষকবচ হিসেবে কাজ করছে, এরই মধ্যে এসব বিদ্রোহীরা বিভিন্ন মিডিয়ায় বলেছে তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোন যুদ্ধ চায়না, তারা শুধু দামেস্কের দখল নিতে চায়, লেবাননের ধ্বংস চায়, এবং এইসব অঞ্চল দখল করে তারা ইসরাইলের সাথে পাশাপাশি দেশ হিসেবে শান্তিতে বসবাস করতে চায় বলে সাক্ষাৎকারে বলেছে।
তবে, প্রশ্ন থেকে যায়—ইসরায়েল এই অঞ্চলটি ধরে রাখতে পারবে কি? এটি মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান রাজনৈতিক এবং সামরিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাশার আল-আছাদের পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনকালে আছাদ ২৪ বছর শাসন ধরে রেখেছিল, অবশেষে পতনের মুখোমুখি হয়েছে। তার শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং সংঘর্ষ নতুন কিছু নয়, তবে এখন মনে হচ্ছে তার শাসনের উপর থেকে সমর্থন পুরোপুরি সরে গেছে।
রাশিয়া, ইরান, এবং তুরস্কের ভূমিকা পুরো পরিস্থিতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে একটি গোপন চুক্তি হয়েছে, যার অধীনে অঞ্চলের বর্তমান পরিবর্তন স্বাভাবিকভাবে ঘটতে দিচ্ছে। রাশিয়া এবং ইরানের সমর্থন হ্রাস পাওয়ার ফলে বাশার আল-আসাদের শাসনের ওপর এই বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে বলছে মিডিয়া।
ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ এবং এর সাথে অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তিগুলোর কৌশল ভবিষ্যতে আরও জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা বা প্রতিযোগী বাহিনীর প্রতিরোধের সম্ভাবনা রয়েছে। এ পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
দামেস্কের পরিস্থিতি নতুন একটি অধ্যায় শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর এই সংঘর্ষ এবং সহযোগিতা মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যতের দিক নির্দেশ করবে। বাশার আল-আছাদের শাসনের পতন, ইসরায়েলের কৌশলগত অগ্রগতি, এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর পুনর্বিন্যাস এই অঞ্চলের রাজনৈতিক মানচিত্র বদলে দিতে পারে।
শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
- Click to print (Opens in new window) Print
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window) WhatsApp
- Click to email a link to a friend (Opens in new window) Email
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window) LinkedIn
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on X (Opens in new window) X