
চলতি পথে: তথ্য মতে পিঠে বা পিঠা বাংলার নিজস্ব আদিম আভিজাত্যপূর্ণ খাদ্যদ্রব্য। এটি চালের গুঁড়ো, আটা, ময়দা, অথবা অন্য কোনও শস্যজাত গুঁড়ো দিয়ে তৈরি করা হয়। অঞ্চলভেদে পিঠের ভিন্ন ভিন্ন বৈচিত্র্য দেখা যায়।
গ্রামাঞ্চলে সাধারণত নতুন ধান তোলার পর থেকেই পিঠা তৈরির আয়োজন করা হয়। শীতের ও পৌষ পার্বণের সময় বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে পিঠে তৈরি করা হয়। পিঠে সাধারণত মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকলেও ঝাল, টক বা অন্য যে কোনও স্বাদ হতে পারে।
পিঠা চিনে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঙালি ভাতের পরেই পিঠা পুলির স্থান রেখেছে।
জামেয়া দ্বীনিয়ার পরিচালক সৈয়দ মাজদুদ আহমদ সহ আমরা কয়েকজন মৌলভীবাজার থেকে সিলেটের বিয়ানীবাজার যাওয়ার পথে জুড়ি বাজারে দেখা পেলাম ব্যতিক্রমধর্মী পিঠার দোকানের, গ্রামীন ছাঁচে গড়া দোকানটিতে ক্রেতার উপচেপড়া ভিড়, ভাপা, সন্দেশ, চিতই, পুলি সহ হরেক রকমের পিঠার সমাহার।
দোকানিকে পিঠা দেয়ার কথা বলতে দোকানি বলল আপনারা নিজ হাতে নিন, আমরা যার যার পছন্দ অনুযায়ী পিঠা তুলে খাওয়া শুরু করলাম, শীতের রাতে গরম গরম চিতই পিঠার সাথে ভর্তা না হলে চলে; প্রথমে ভর্তার দিকে নজর পরেনি, চোখ পরল একদম সামনে আলাদা আলাদা করে কালোজিরা, চিংড়ি, শরিষা, কাঁচা মরিচ, শুটকি, রসুনের ভর্তা সাজানো রয়েছে, অপেক্ষা করছিলাম দোকানি নিজ হাতে দেবে, আমাকে অপেক্ষায় দেখে জানতে চাইল কি দরকার? আমি ভর্তা দেন বলায় একটু লম্বা সূর টেনে বলল নিজ হাতে নিন।
আমি তো আশ্চর্য! এতসব ভর্তা নিজ হাতে খাবো! দেরী না করে সাথে সাথেই সব ধরনের ভর্তা থেকে কিছু কিছু নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিলাম, কি স্বাদ একেকটি ভর্তায় লিখে বুঝানোর মত নয়।
পিঠা পুলি আর ভর্তার বুফে স্বাদ পূর্ণ করে খাবারের অনুভূতি সত্যিই অনন্য ছিলো।
শেয়ার করুন
- Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
- Click to print (Opens in new window) Print
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window) WhatsApp
- Click to email a link to a friend (Opens in new window) Email
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window) LinkedIn
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on X (Opens in new window) X